লিভার রোগের লক্ষণ

দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে লিভার এটি শরীরের বিভিন্ন কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করা দেহের বিপাকে কাজ করে।
প্যারেনকাইমাল ও নন প্যারেনকাইমাল নামের দুই ধরনের কোষ দিলে লিভার গঠিত হয়প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের লিভারের
ওজন থাকে ১.৫০ কপ্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় এক লাখ মানুষ লিভারের রোগে মারা যায়।লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে
সাধারণত লিভারের যে রোগগওলো হয়ে থাকে এরমধ্যে ভাইরাল হেপাটাইটিস জন্ডিস লিভার সিরোসিস লিভারের ফোঁড়া।
পিওথলির রোগ ফ্যটি লিভার ,লিভার ক্যান্সার অন্যতম ।লিভারে সমস্যা শুরু হলেই শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ ফুটে উঠে তবে
অনেকের শরীরে আবার অজান্তেই লক্ষণ ছাড়া বাসা বাধঁতে পারে ।এইসব রোগ অনেকে লক্ষণ সম্পর্কে জানেন না বলে হয়তো
অবহেলায় রোগ বাগিয়ে তোলেন আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি লিভারের রোগের লক্ষণ। প্রতিকারের বিষয়গুলো বিস্তারিত
আলোচনা করতো এতে লিভার রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আপনি দ্রুতই সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন ।আপনার লিভার
সমস্যা হচ্ছে কি না তা কিছু লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন এসব লক্ষণের মধ্যে বারবার বমি হওয়া ফ্যাকাশে মল।
খাওয়ার পর মুখে তেতো উপরে ব্যথা করা ক্লান্তি বোধ ইত্যাদি প্রধান এসব লক্ষণে সতর্ক হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণ অনেকে পেটের অতিরিক্ত চর্বি সমস্যা ভোগেন একে ফ্যাটি লিভার বলে ।
এটা হেপাটিক স্টেটোসিস নামেও পরিচিত লিভারে অল্প পরিমাণ চর্বি থাকা স্বাভাবিক কিন্তু চর্বি অতিরিক্ত
জমে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে।লিভার রোগের লক্ষণ
সাধারনণত ফ্যাটি লিভার ২ধরনের ঞয়ে থাকে একাট অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার যাদের নিয়মিত লিভার রোগের লক্ষণ
মদ্যপান করার অভ্যাস আছে

তাদের অ্যলকোহলিক ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হয় সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অস্বাস্থ্যকর
খাদ্যভ্যাস প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ অতিরিক্ত চিনি কার্বোহাইড্রেট প্রসেসড ফুড এবং অতিরিক্ত মসলাদার খাবার গ্রহণের কারণে।
এসব কারণ ছাড়াও বিভিন্ন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহন করলে ডায়াবেটিক বা রক্তে কোলেস্টরলের মাএা বেশি থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে । আবার একটা নিদিষ্ট বয়সের পরও অনেকের বংশগত কারণে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
বাংলাদেশে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি জমলে তা গুরুতর আকারে রুপ নিতে পারে ফ্যাটি লিভার থেকে প্রথমে হেপাটাইটিস বা লিভার প্রদাহ হয।
এরপর লক্ষণ গুলো ধরতে পারলে অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধান হতে পারে চলুন জেনে নিই। ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ গুহজমে সমস্যা হওয়া ও খাবারে অরুচি আসা খাবারের সময় বমি বমি ভাব হওয়া ।
অনেক সময় পেট ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া হঠাৎ করেই ওজন যাওয়া মাথাব্যথা ডিপ্রেশনে থাকা বা মন খারাপ হওয়াসাধারণত টাইপ টু।লিভার রোগের লক্ষণ
লিভার রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগিদের মেনোপজ শুরু হওয়া নারীদের স্থূল ব্যক্তিদের কোলেস্টেরলের মাএা বেশি থাকা ব্যক্তিদের এবং উচ্চ রক্তচাপ
আক্রান্ত রোগিদের ফ্যাটি লিভারের ঝুকি বেশি থাকে লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ পুরো পৃথিবীর ক্যান্সারজনিত অন্যতম প্রধান কারণ লিভার ক্যান্সার প্রতিবছর বিশ্বে ।লিভার রোগের লক্ষণ
প্রায় সাড়ে চার লক্ষ লোক এ রোগে আক্রান্ত হন দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় লিভার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা পৃথিবীর অন্য ।
যেকোনো অচলের চেয়ে অনেকে বেশি লিভার ক্যান্সারের মূলে লোক হেপাটাইটিস বি ওসি ভাইরাসের বাহক তাই এ দেশে লিভার ক্যান্সারের মূলে কারণ এটাই।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হবে
চলুন জেনে নিই লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নিচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব হওয়া ।
সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া পেট ফাকা থাকা ওজন কসে যাওয়া হালকা জ্বর জ্বর ভাব থাকা খাওয়ায় অরুচি হওয়া অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া।
লিভার ক্যান্সারে যেকোনো বয়সের লোকই আক্রান্ত হতে পারে তবে নারীদের চেয়ে পুরুষদের ৪থেকে ৬গুণ বেশি ঝুকি থাকে ।
সাধারণত ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভার সিরোসিস দেখা দেয় তবে এর ব্যক্তিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক লিভার দুর্বলতার লক্ষণ ।
শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিন ছেঁকে বের করে দেয় লিভার এর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন ।
শরীরেই থেকে যায় এর ফলে একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে এ কারনে লিভার সুস্থ থাকুহরমোনাল ইমব্যালেন্স।
হঠৎ করেই ওজন কমা বা বাড়া অনবরত বমি ভাব দেখা দেওয়া অ্যালাজি ও দাওয়া অ্যালাজি ওহজমের সমস্যা হওয়া ।
খাওয়া দাওয়া পরেও ক্লান্তির করা মূখে দুর্গন্দ হওয়া মাথাব্যথা করা ঘুমের সমস্যা দেখা দেওয়া মুড সুইং হওয়া ।
উচ্চ রক্তচাপ
- এবং উচ্চ কোলেস্টেরল সমস্যা দেখা দেওয়া।
এছাড়া লিভার দুর্বল হওয়ার আরো কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো ঘন ঘন শরীর খারাপ হওয়া, গোড়ালি এবং পেট ফুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি, তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, ডায়রিয়া, চোখ এবং ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।লিভার রোগের লক্ষণ
লিভার নষ্টের লক্ষণ
মেটাবলিজম থেকে শুরু করে সিন্থেটিক ফাংশন, অনেক কিছুর জন্যই দায়ী হচ্ছে লিভার। ভাইরাস, মদ্যপান, স্থূলতাসহ অনেক কারণেই
লিভারের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। লিভার ফেইলিওরের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরুপ। লিভার রোগের লক্ষণ
একটু সচেতন থাকলেই আপনি অনেক রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন। যারা সচেতন, তারা সত্যিই আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে রোগ থেকে
রক্ষা পেতে পারেন, কিংবা অন্তত প্রকোপ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারেন। লিভার নষ্ট হতে শুরু করলে এর লক্ষণগুলো শরীরে
দৃশ্যমান হয়। সেসব লক্ষণ দেখে বুঝতে পারা যায় যে আপনার লিভার নষ্ট হওয়ার পথে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লিভার নষ্ট হওয়ার
লক্ষণগুলো সম্পর্কে-
- জন্ডিসে আক্রান্ত হলে
- ত্বকে চুলকানি দেখা দিলে
- খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দিলে
- কোথাও কেটে-ছড়ে গেলে ক্ষত নিরাময়ে বেশি সময় লাগলে বা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে
- কাজে-কর্মে মনোযোগ না থাকলে
- মল ও মূত্রের রং হঠাৎ করে পাল্টালে।
এছাড়া লিভার নষ্ট হওয়ার আরো কিছু লক্ষণের মধ্যে আছে পাঁজরের একটু নিচে, পেটের ডান দিকে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া, সব সময় আচ্ছন্ন থাকা, কাঁপুনি, বিভ্রান্তি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লিভার ইনফেকশনের লক্ষণ
লিভার ইনফেকশন অনেক কারনে হতে পারে এবং কারন অনুযায়ী এর উপসর্গ বা লক্ষন কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। কমন কিছু লক্ষন হতে
পারে লিভার ইনফেকশনের ক্ষেত্রে যেমন – জন্ডিস (ত্বক, চোখ হলুদাভ হওয়া), পেটে ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হওয়া,
ফ্যাকাসে পায়খানা, শরীরে চুলকানি, দুর্বলতা, অরুচি, বমিভাব ইত্যাদি। তবে এগুলো হলেই যেমন লিভার ইনফেকশন হয়েছে নিশ্চিত বলা
যায় না, তেমনি ইনফেকশন হলেও এর সব কয়টি লক্ষন দেখা যাবে এমনটিও নয়। যেকোন উপসর্গ দেখা দিলে তাই সঠিক সময়ে ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে রোগ স্নাক্ত করে চিকিতসা নেওয়া জরুরী।
লিভার বড় হওয়ার লক্ষণ
অনেক সময় পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করলে দেখা যায়, লিভারের আকার বড় হয়ে গেছে। লিভার কেন বড় হয়, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই
জাগে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি, ই এবং হারপিস সিম্পলেকস, ইবস্টেন বার ও সাইটোমেগালো ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এমনটা
হতে পারে। সালমোনেলা টাইফি, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও লিভার বড় হয়। এছাড়া কিছু কিছু
ছত্রাকের সংক্রমণেও লিভার বড় হয়ে থাকতে পারে।লিভার রোগের লক্ষণ
লিভার বড় হয়ে গেলেও অনেক সময় মানুষের শরীরে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর ফলে কারো পক্ষে এটা বোঝা মুশকিল হয়ে
যায় যে তিনি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তবে কিছু কিছু লক্ষণ, যেমন- পেটের
ডান দিকে ওপরের অংশে বাড়তি চাপ লাগলে, ব্যথা হওয়া কিংবা চাকা অনুভব করলে, জন্ডিস হলে, রক্ত বমি ও রক্ত পায়খানা হলে, শরীরে
চুলকানি দেখা দিলে এবং পেট ও পায়ে পানি আসলে দেরি না করে দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লিভারের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা। হেপাটাইটিস বি’র টিকা নেওয়া থাকলে অনেকটাই সতর্ক অবস্থানে থাকা যায়। এছাড়া
অনিরাপদ যৌনতা, অন্যের সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার, ব্রাশ ও ক্ষুর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, শাকসবজি ও ফলমূল
বেশি করে খাওয়া, চর্বিযুক্ত খাবার এড়ানো, মদ্যপান থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করা, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহণ
করা এবং ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখলে লিভারের রোগ প্রতিরোধ করা অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব হয়। লিভার রোগের লক্ষণ