হার্ট ভালো রাখার উপায়

হার্ট ভালো রাখার উপায়

হার্ট ভালো রাখার উপায়



হার্ট ভালো রাখার উপায়

হার্ট ভালো রাখার উপায় বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে বাংলাদেশে প্রবীণ মানুষেরা যেসব রোগে মারা যান তার শীষের্ই আছে হৃদরোগ বা এ সম্পর্কিত রোগ ।

আবার গবেষক ও চিকিৎসক সৎগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংক্রামক রোগে যত মানুষ মারা যায়

তার অর্ধেকই মারা যায় এ হৃদরোগে ,যার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ,পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়

,বাংলাদেশে অল্প বয়সেও হৃদরোগে আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লক্ষ

মানুষ তামাক ব্যবহার জনিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে।আর বাংলাদেশে প্রতি বছর ২লক্ষ ৭৭হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যান

হার্ট ভালো রাখার উপায়


তামাক জনিত কারণে অর্থ্যৎ প্রতি দুই মিনিটে একজন মানুষ মারা যাচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে আজ পালিত হলো বিশ্ব হার্ট দিবস,এ উপলক্ষে ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি  পালন করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্তণালয় এবং ন্যশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।

চিকিৎসকরা বলছেন হৃদরোগের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উওম এবং এক্ষেতে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বলেছেন

ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সুটিটিউটের সহযোগি অধ্যাপক নূরুল আলম।

ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ এক পরিস্থিতি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মানবদেহে বসানো হল মেকানিকাল হার্ট, কিভাবে কাজ করে এই যন্ত্র ।হার্ট ভালো রাখার উপায়

দরোগ ঠেকাতে খাদ্যভ্যসে ৪টি পরিবর্তন:

১.পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে কি হয়


পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে কি হয়
পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে কি হয়

চিকিৎসকদের মতে যে কোনো শারীরিক নাড়াচড়া যেটাতে দেহের ঐচ্ছিক পেশীসক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে

এবং পেশীর এই কাজের জন্য ক্যলরি বা শক্তির ব্যয় ঘটে সেটিই শারীরিক পরিশ্রম বা ফিজিক্যাল এক্টিভিটি।

এর্থাৎ ব্যয়াম বা শারীরিক শ্রমের মূল উদ্দেশ্যই হল অতিরিক্ত মেদ বা বার্ন করা উদাহরণস্বরুপ বলা যায়

খেলাধুলা,হাঁটাচলা, গৃহস্থালির কাজ কিংবা ভ্রমন, বিনোদনমূলক কাজ কিংবা শরীরচর্চার মতো কাজ।হার্ট ভালো রাখার উপায়

২. কোন ধরনের ব্যায়াম বা পরিশ্রম কতটা দরকার


কোন ধরনের ব্যায়াম বা পরিশ্রম কতটা দরকার
কোন ধরনের ব্যায়াম বা পরিশ্রম কতটা দরকার

চিকিৎসকরা বলেছেন হার্ট সুস্থ রাখতে শারীরক শ্রম খাবার দাবার ও ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ -এটি একজন মানুষকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে

এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে বরিশালের অধিবাসী তোফাজ্জল ইসলামের বয়স ৭৫

এক সময় রাজনীতি করতেন কিন্তু গত প্রায় এক দশক অবসর জীবন যাপন করেছে স্বাস্থ্যগত কারণে হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসে ভুগছে ।

এ কারনে নিয়মিত হাঁটাহাটি আর কায়িক পরিশ্রম করি বাসা থেকে বাজারে আসা যাওয়া  হেঁটেই করার চেষ্টা করি ।

নাতির সাথে টুকটাক খেলাও করি নিয়মিত বলছিলেন তিনি , তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে একই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ।

অর্থাৎ নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে হাঁট সুস্থ রাখতে এবং নামাজ পড়ি হাটি আর বাসার কাজর্কম ও কিছুটা করার চেষ্টা করি ।

কিন্তু অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন আছে যে ঠিক কোন ধরনের পরিশ্রম করাটা উচিত হাঁট সুস্থ রাখার জন্য ।

ডাঃ নুরুল আলম বলেছেন হাঁট সুস্থ রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৩০ মিনিট হাঁটা দরকার ।

কিন্তু কারও যদি তেমন সময় না থাকে বা সুযোগ না হয় তাহলে তাকে বাসায় বা

কর্মক্ষেতে হেটে সিড়ি দিয়েওঠা অফিস বা বাসাতেই হাঁটা কিংবা

অফিসে আসার সময় বা বাসায় যাওয়ার সময় গাড়ী একটু দুরে রেখে হেটে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।হার্ট ভালো রাখার উপায়

৩.কোন বয়সে কতটুকু শারীরিক পরিশ্রম


কোন বয়সে কতটুকু শারীরিক পরিশ্রম
কোন বয়সে কতটুকু শারীরিক পরিশ্রম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরার্মশ হলো কিশোর বয়সে বিশেষ করে ৫-১৭ বছর বয়স প্রতিদিন প্রায় এক ঘন্টা ভালোভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার ।

বিশেষ করে ওই বয়সে পেশি ও হারকে এমন ব্যয়াম বা

শরীরচর্চা সপ্তাহে তিন বার করা উচিত এক্ষেতে খেলা ধুলা ভালো ভূমিকা পালন করে আর আঠারো বছরের বেশি।

বয়সীদের আরও উচ্চমাএারশারীরিক পরিশ্রম করা দরকার তাদের মাঝারি ও উচ্চমাএার ব্যয়াম বা শরীর চর্চার মতো কাজে বেশি সময় দিতে হবে।

একই সাথে বিশেষঙ্গদের পরার্মশ অনুযায়ী হাড় শক্তি শালি করে এমন ব্যয়াম সপ্তাহে কমপক্ষে দুই বার করা দরকার।হার্ট ভালো রাখার উপায়

৪. হার্ট রেট কত হলে বুঝবেন পরিশ্রম যথাযথ


হার্ট রেট কত হলে বুঝবেন পরিশ্রম যথাযথ
হার্ট রেট কত হলে বুঝবেন পরিশ্রম যথাযথ

যুক্তরাষ্টের সিডিসি বলেছে মোটামুটি মাএার শারীরিক পরিশ্রমের একজন মানুষের হার্ট রেট থাকা উচিত তার সর্বোচ্চ হার্ট রেটের ৬৪ থেকে ৭৬শতাংশের মধ্যে।

আবার বয়সভিতিক ও এটা হিসেবে করা যায় যে শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে হার্ট রেট কতটা পযর্ন্ত হলে সেটা যথাযথ হবে ।

এক্ষেতে একজন মানুষের বয়স যদি ৫০ বছর হয় তাহলে ২২০ থেকে ৫০ বাদ দিলে যে ১৭০ বিটস পার মিনিট বা বিপিএম পাওয়া যাবে ।

সেটাই ঐ ব্যক্তির বয়স অনুপাত সর্বোচ্চ হার্ট রেট এখন ৫০ বছর বয়সী একজন

ব্যক্তির ক্ষেতে তার সর্বোচ্চ হার্ট রেটের ৬৪ শতাংশ হবে ১৭০ *০.৬৪=১০৯বিপিএম আর ৭৬ শতাংশ হবে ৭০*০.৭৬=১২৯বিপিএম।

এখানে দেখা যাচ্ছে মোটামুটি মাএার শারীরিক পরিশ্রম জন্য একজন ৫০  বছর বয়সী মানুষের হার্ট  রেট ওই পরিশ্রম করার সময় ১০৯ এর মধ্যে থাকতে হবে ।

আবার উচ্চমাএার শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেতে রেট হবে  সর্বোচ্চ হার্টরেটের ৭৭%থেকে ৯৩%তবে

শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উচ্চমাএার পরিশ্রম   সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে । এবিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষঙ্গরা হার্ট ভালো রাখার উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *