কালোজিরার উপকারিতা

কালোজিরাকে আমরা যেই নামে ডাকে থাকি না কেনো কালোজিরার কালো বীজের গুনগত মান ,স্বাস্থ্য উপকারতা
অপরিসীম অসাধারণ সর্বক্ষণ।কালোজিরা মানুষের কাছে ।অনেক উপকারি একটি ঔষধ হিসেবে পরিচিত।কালেজিরার
ছোট ছোট কারৈা দানা গুলোর মাঝে মহান সৃষ্টিকর্তা এক বিশাল উপকারি গুণগত ক্ষমতা প্রদান করেছেন যা সত্যিই
বিষ্ময়কর।আদিকাল হতে শুরু করে আজ অবধি কালোজিরা মানুষের শরীরের নানান জটিল রোগের প্রতিরোধক ও
হিসেবে কাজ করছে। কালোজিরার উপকারিতা
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন ,তোমরা কালোজিরা নিয়মিত সেবন করবে,কেননা একমাত্র কালোজিরায় রয়েছে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধি গুন “কালোজিরায় রয়েছে অনিদ্রা ,চুলপড়া ,মাথাব্যথা মাথা ঝিম ঝিম করা,মস্তিস্ক শক্তি তথা স্বরনশক্তি বাড়ানো,মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা ,অবসন্নতা -দুর্বলতা ,অলসতা ও নিষ্ক্রয়তা খাবারের অরুচি সহ সকল প্রকার রোগের মহৌষধি গুনাগুন।
কালোজিরার পুষ্টিগুণ

প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদানে ভরপুর কালোজিরা।নিয়মিত কালোজিরা খাদ্য হিসেবে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে কালোজিরার উপকারিতা
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ফলে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।।এছাড়াও কালোজিরায় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়মগুলো

আমরা দুই ভাবে কালোজিরা খেয়ে থাকি।প্রথমত কালোজিরার দানা শুধু কাঁচা চিবিয়ে খাই আর দ্বিতীয়টি হলো অন্য কোনো কিছুর সাথে কালোজিরার উপকারিতা
মিশিয়ে বা পিষিয়ে কালোজিরা খায়ে থাকি।আবার বিভিন্ন জন কালোজিরা মধু ,রসুন,হলুদ,পুদিনা-পাতা ,তুলসি পাতা
ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খায়।আর এইভাবে কালোজিরা খাওয়ায় রয়েছে অনেক উপকারিতা।কালোজিরা খাওয়ার অন্য
আর একটা নিয়ম হলো কালোজিরা গুড়ো করে পেয়ারা পাতার রসের সাথে মিক্স করে খাওয়া।এলার্জি রোগি মানুষের
জন্য কালোজিরা ও পেয়ারা পাতার রস অনেক উপকারি।এমনভাবে ও কালোজিরা খাওয়া যায়।আবার নিয়ম করে
কালোজিরা ও তেলের সাথে ১ কাপ পরিমান পুদিনার পাতা রস করে এবং কমলা লেবুর রস মিশিয়ে কালোজিরার মিশ্রন
করে খাওয়া যেতে পারে।এর ফলে অতিরিক্ত দুচিন্তা দূর হবে।এটা একটি নিয়ম কালোজিরা খাওয়ার।মধু ও কালোজিরা
মিশ্রিত করে খাওয়ার ও আর একটিনিয়ম রয়েছে।কালোজিরা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি অল্প হলেও নিরাময়
হয়। কালোজিরার উপকারিতা
তাছাড়া কালোজিরা তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।প্রতিদিন কয়েকবার এই কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা
১।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক।আর এ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ে অনেক কাজে লাগে কারোজিরা।কালোজিরা রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।তার জন্য ডায়বেটিস রোগীদের পূনরায় ঔষধ সেবনের দরকার হয় না এবং ডায়াবেটিস রোগীরা উপকার পেয়ে থাকেন।
২।স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
আমাদের জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের কাজের চাপ ও ব্যস্ততার ফলে মানুষের ব্রেনশক্তি একঘরে হয়ে পরে এবং একটা সময় কমবেশি সব কিছুই মানুষ ভুলতে শুরু করে বা স্মরন রাকতে পারি না।এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে কালোজিরা।কালোজিরা একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।মানুষের মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কালোজিরা স্মরন শক্তি বাড়িয়ে তুলতে উপকারি ভূমিকা রাখে। কালোজিরার উপকারিতা
৩।চুলপড়া রোধ

চুলপড়া এখনকার মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আবার চুলপড়া রোধে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের
উপায়ও।আর চুলপড়া রোধে সেগুলোর সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী সমাধান পাওয়া গেছে কালোজিরায়।সর্ব প্রথমে ১টি
মাঝারি আকারের লেবুর অর্ধেকটা কেটে লেবু রস করে নিতে হবে,তারপর লেবুর রসের ৩-৪ চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে
হবে ভালোভাবে।লেবুর রসের সাথে লবন ভালোভাবে মেশানো হলে এই রসের পরোটা মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট সময়
রেখে সম্পূর্ণ মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।এর ফলে চুলে মিশে থাকা সকল ময়লা জীবাণু ও খুশকি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
এবার মাথার চুল ভালোকরে শুকোতে হবে,চুল শকোনো হলে মাথায় কালোজিরার তেল লাগাতে হবে।আবার ২দিন পর
পর লেবুররস এবং লবন মিশিয়ে মাথা ধুয়ে কালোজিরার তেল লাগাতে হবে।এর ফলে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই মাথায় চুল
পরা রোধ করা সম্ভব হবে। কালোজিরার উপকারিতা
৪।ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
কালোজিরার উপকারিতা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুট বা তিনটি রসুন কোষ চিবিয়ে কেয়ে নিলে এবং সমস্ত দেহের মাঝে কালোজিরার
তেল মালিশ করে সূর্য তাপে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থাকতে পরলে এবং এক চা-চামচ কালোজিরা তেলের সাথে এক চা-
চামচ পরিমাণ মধু মিশ্রিত করে প্রতি সপ্তাহে ২/৩দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।এইভাবে প্রতিদিন
খাওয়া সম্ভব না হলেও ২-১ দিন পর পরও খাওয়া যাবেে ,এতে করে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
৫।মাথা ব্যথা কমায়
মাথা ব্যথা বর্তমান সময়ে অনেক জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আর এই মাথা ব্যথা সমস্যা নিরসনের জন্য কারৈাজিরার
উপকারিতা অনেক।আমরা কপালের দুই পাশে কালোজিরার তেল মালিশ করলে ৫ মিনিট সময় ধরে এতে মাথা ব্যথা খুব
সহজেই দূর হয়ে যাবে।তাছাড়াও মাতা ব্যথা যাদের প্রতিদিনের সাথী তাদের জন্য ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থারয়েছে।কালোজিরা
দিয়ে বড়ি বানিয়ে খেলে মাথার ব্যথার উপদ্রপ অনেক কমে যাবে এবং সাথে সাথেই এর ভালো সুফল পাওয়া যাবে।
৬।হজমের সমস্যা দূর

এসিডিটি বদহজম আজকাল ঘরে ঘরে।আর এই এসিডিটি বা হজমের সমস্যা হলে আর এখন টাকা খরচ করে ঔষধ কিনতে হবেনা।কালোজিরা মোটামুটি আমাদের সবার ঘরেই থাকে এখন।আর এই কালোজিরা আজ থেকে ব্লেড করে রাখবেন।এসিডিটি বা হজমজনিত কোনো সমস্যার দেখা দিলেই এক গ্লাস গরম দুধে ২-৩ চামচ কালোজিরা গুড়ো মিশিয়ে পান করলে সাথে সাথেই উপকার পাওয়া যাবে। কালোজিরার উপকারিতা