মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি

মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি 


মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি
        মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি

হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। ইসলাম মেনে চলা মানুষের জন্য কোনঅস্বাভাবিক কাজ নয় কারণ এটা আমার আপনার সকলের আপনজন এবং সৃষ্টিকর্তা

আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত জীবনবিধান।দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ, কাজের ব্যস্ততা, এবং ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণে আমরা অনেক সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলি।

এটি শুধুমাত্র নিজের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং আশেপাশের পরিবেশ এবং সম্পর্কের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।তাই মেজাজ ঠান্ডা রাখার কিছু কার্যকর পদ্ধতি জানা

এবং চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


মেজাজ ঠান্ডা রাখার ১০টি উত্তম পদ্ধতি:-


 মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায়
 মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায়

১. গভীর শ্বাস নেওয়া: রাগ বা হতাশা অনুভব করলে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। এটি দ্রুত স্নায়ুকে শান্ত করে।

২. ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন: পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সাময়িক দূরে সরিয়ে নিন। এটি চিন্তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

৩. পজিটিভ চিন্তা করুন: নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন।

৪. মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম চর্চা করুন: মানসিক শান্তি আনতে এটি খুবই কার্যকর।

৫. প্রকৃতির সাথে সময় কাটান: গাছপালা, নদী, বা সবুজ পরিবেশে কিছুক্ষণ থাকলে মন হালকা হয়।

৬. মনে মনে ১০ গুনুন: কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না দিয়ে ধীরে ধীরে ১০ পর্যন্ত গুনুন।

৭. প্রিয় সঙ্গীত শুনুন: আপনার প্রিয় সঙ্গীত মেজাজ পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।

৮. শরীরচর্চা করুন: হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৯. জল পান করুন: ঠান্ডা জল পান করলে শরীর ও মন কিছুটা শান্ত হয়।

১০. নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন: নিজেকে এবং অন্যকে ক্ষমা করা মানসিক চাপ কমায়।


 মেজাজ ঠান্ডা হয়ার কারন গুলো


মেজাজ ঠান্ডা হয়ার কারন গুলো 
                                                              মেজাজ ঠান্ডা হয়ার কারন গুলো 

১.যখন মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ থাকবে, তখন নিজের পছন্দের গান শুনুন।প্রথমে বিরক্ত লাগলেও পরে মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যাবে। গান এমনটা বিষয়, যা শুনলে আপনার মন ভালো না হয়ে কোনো উপায় নেই।

২. অনেকের মন খারাপ থাকলে মায়ের কাছে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে,তাহলে মেজাজ খারাপ হলে মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করুন। দেখবেন,এক নিমেষেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। শুধু মা নয়, বাবা, ভাই, বোন কিংবা বন্ধু যে কারও সঙ্গেই দেখা করতে পারেন।যার কাছে আপনি কথা বলে স্বস্তি অনুভব করেন, তার কাছেই যান।এমনকি আপনি আপনার পালিত কোনো প্রাণীর সঙ্গেও কিছুক্ষণ খেলা করতে পারেন। এতেও আপনার মেজাজ ঠান্ডা হবে।

৩.মেজাজ ঠান্ডা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো চকলেট খাওয়া। যখনই কারও ওপর রাগ করবেন কিংবাকোনো বিষয়ে মেজাজ খারাপ হবে, তখনই এক টুকরা চকলেট খেয়ে ফেলুন। দেখবেন, খুব সহজেই আপনার মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৪. পছন্দের পুরোনো কোনো বই পড়ুন, যা পড়ে ছোটবেলা আপনি অনেক আনন্দ পেয়েছিলেন। সেই বইটি খুঁজে বের করুন। এর প্রতিটি লাইন পড়ে আপনি পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে যাবেন। এই স্মৃতিগুলোই আপনার মেজাজ ঠান্ডা করে দিতে সাহায্য করবে।

৫. কারও জন্য ভালো কিছু করুন। দেখবেন, সব ধরনের রাগ, ক্ষোভ দূর হয়ে আপনি প্রশান্তি অনুভব করবেন।যখনই মেজাজ খারাপ হবে, তখনই পরিচিত বা অপরিচিত যেকোনো মানুষের কোনো একটা উপকার করুন। এতে মেজাজ একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৬. ভালোবাসেন এমন কাউকে ফোন করুন। হয়তো ফোনে আপনি তাঁর সঙ্গে রাগ দেখাবেন।কিন্তু ফোন রাখার পর অনুভব করবেন, আপনার মেজাজ একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেছে।

৭.দীর্ঘসময় গোসল করুন। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এই পদ্ধতিতে সত্যি আপনার মেজাজ ঠান্ডা হবে।আপনি নিজেকে সতেজ ও ফুরফুরে অনুভব করবেন।মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি


উপসংহা


⇒ মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করা একটি চর্চার বিষয়। উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো চর্চা করলে ধীরে ধীরে নিজের

অনুভূতির উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।ফলে আপনার মানসিক শান্তি ও আশেপাশের পরিবেশ উন্নত হবে। নিয়মিত এসব

অভ্যাস গড়ে তুলুনএবং জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে তুলুন।ঘুম থেকে উঠেই হুট করে যেকোনো কারণে

আপনার মেজাজ খারাপ হতে পারে।শুধু তাই নয়,অফিসে কাজ করতে গিয়ে বা কারো ফোন পেয়ে চট করেই

আপনার মেজাজ গরম হতে পারে।সারা দিন এটা আপনাকে যেন বয়ে বেড়াতে না হয়, এ জন্য ছোট ছোট কিছু

পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন,যা এক নিমেষেই আপনার মেজাজ ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে আইডিভা ওয়েবসাইটের

এই তালিকাএকবার দেখে নিতে পারেন।মেজাজ ঠান্ডা রাখার উত্তম পদ্ধতি


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *