প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। তবে প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য

কি আদৌ উপকারী কিনা তা অনেকেরই জানা নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়।

তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকলে একটি বা দুটি ডিম দৈনিক খাওয়া যেতেই পারে।

ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হবেন। একটি ডিমে ৭৫ ক্যালরি, ৫ গ্রাম চর্বি, ৬ গ্রাম প্রোটিন,
৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে।
এ ছাড়া ডিম ভিটামিন এ, ডি, এবং বি১২ এর একটি বড় উৎস। একটি ডিম সকালের নাস্তা বা রাতের খাবারের জন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
একজন সুস্থ মানুষ তাদের হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত না করে সপ্তাহে সাতটি ডিম খেতে পারেন।
কেউ কেউ শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পছন্দ করে, কুসুম নয়, যা কোলেস্টেরল ছাড়া কিছু প্রোটিন সরবরাহ করে।
ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি,
হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। ডিমে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড়ের জন্য ভালো।
চলুন জেনে নিই প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে-
অ্যানার্জি বৃদ্ধি
ডিম অ্যানার্জির খুব ভালো উৎস। ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত শক্তি মেলে। এতে থাকা ভিটামিন বি খাদ্যকে
অ্যানার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তাই প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তহীন থাকবেন।

ওজন কমায়

সকালে বা রাতে ডিম খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এটি ঘটে ডিমে উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে।
তাই সকালের নাশতায় অমলেট হোক বা সেদ্ধ ডিম খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে।
ফলে বারবার খাওয়ার চাহিদা কমবে। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডিম খাওয়ার ফলে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বেড়ে যায়, যা ভালো কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত।
যাদের এইচডিএল মাত্রা বেশি তাদের হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম।
ডিম পুরো বিশ্বেই সকালের নাস্তার একটি প্রধান খাবার। ডিম দিয়ে নানা খাবার তৈরি করা যায়,
এটি সুস্বাদু এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর। সহজে রান্না করা যায় বলে এটি অনেকেরই পছন্দের খাবার। আপনিও হয়তো এমন কেউ যে
প্রতিদিন ডিম খেতে ভালোবাসে! প্রতিদিন ডিম খাওয়ার কারণে অনেকের মনে আবার প্রশ্ন আসতে পারে যে,
এতে কোনো সমস্যা হবে কি না? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

প্রতিদিন ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে প্রতিদিন ১-২টি ডিম খাওয়া যেতে পারে।

এই পরিমাণ ডিম কোলেস্টেরল বা অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমতে দেয় না। যেকোনো খাবারের মতো,

স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখার জন্য ভারসাম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অত্যধিক ডিম খেলে অত্যধিক প্রোটিন কিডনিকে প্রভাবিত

করতে পারে এবং উচ্চ-ক্যালোরি কোলেস্টেরলের মাত্রা ব্যাহত করতে পারে। যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য এবং

ওজন কমানোর লক্ষ্যকে প্রভাবিত করে। এবার জেনে নিন প্রতিদিন ডিম খেলে কী হয়-

ফিটনেস সচেতনরা তাদের ডায়েটে ডিম রাখার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো
এতে থাকা ব্যতিক্রমী প্রোটিন সামগ্রী।
স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক টাইটাসের মতে, প্রতিটি ডিমে ৬-৭ গ্রাম উচ্চ-মানের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন পেশী মেরামত,

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ডিমের প্রোটিন অত্যন্ত জৈব উপলভ্য,
যার অর্থ এটি শরীর দ্বারা সহজেই শোষিত এবং ব্যবহার করা হয়। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম
উভয়ই পেশী তৈরিতে অবদান রাখে।
ডিম বি-ভিটামিন, মনো- এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যকর স্নায়ুতন্ত্র এবং
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিকে পাবলিশিং-এর হিলিং ফুডস
বইটি তুলে ধরেছে যে, ডিমে পাওয়া পুষ্টি উপাদান কোলিন সারাদিনের স্মৃতিশক্তি এবং
মানসিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। ডিমের ঘন প্রোটিন উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় অবদান রাখে।
এটি আমাদের মনোযোগ এবং সতর্ক থাকতে সাহায্য করে।

৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে

ডিম হলো উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি ব্যতিক্রমী উৎস, যা হজম হতে বেশি সময় নেয়, ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য

পেট পূর্ণ রাখে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। ম্যাক্রোবায়োটিক

নিউট্রিশনিস্ট এবং হেলথ প্র্যাকটিশনার শিল্পা অরোরা উল্লেখ করেছেন যে, উচ্চ-মানের প্রোটিন এবং চর্বি-দ্রবণীয়

ভিটামিনের সমৃদ্ধ ডিম ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত পছন্দ।

 

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?
প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে?

৫. বিপাকীয় কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে

ডিম খেলে তা বিপাকীয় কার্যকলাপকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে। হিলিং ফুডস বইটিতে উল্লেখ আছে যে, হজমের সময়

ডিমের প্রোটিন পেপটাইডে রূপান্তরিত হয় যা ACE ইনহিবিটারের মতো প্রচলিত ওষুধের প্রভাবের মতো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ডিমের চর্বি, বিশেষ করে ফসফোলিপিড কোলেস্টেরলের শোষণকে কমিয়ে দেয়, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *