হরমোন কি?

হরমোন কি?

হরমোন কি?

হরমোন (ইংরেজি: Hormone, গ্রিক : opun বা প্রানরস  এক ধরনের জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো

কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নিদিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়ে রক্তরস বা ব্যাপন প্রক্রিয়ায় উৎপওিস্থল থেকে

দূরে বাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধবংস প্রাপ্ত হয়।[১] হরমোন কথার

অর্থ হল জাগ্রত করা‘বা উওেজিত করা’। প্রাণীি ও উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য হরমোনের

প্রয়োজন রয়েছে।উৎপাদিত জায়গা হতে পরিবাহিত হয়ে ক্রিয়া -বিক্রিয়া করে হরমোন।যে সমস্ত পদার্থকে হরমোন হিসেবে চিহিৃত

করা যায় তার মধ্যে রয়েছে স্টেরয়েড জাতীয় যেমনেইস্ট্রোজেন,অ্যামাইনো অ্যাসিড

যেমন অক্সিন,আইকোসানয়েড জাতীয় যেমন প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন,প্রোটিন জাতীয় যেমন

ইনসুলিনএবং গ্যাস জাতীয় যেমন ইথিলিন।শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও কোষের মধ্যে যোগাযোগ করে হরমোন।শারীরবৃওীয় প্রক্রিয়া এবংআচরণিক  কাজ যেমন পরিপাক,শ্বাস প্রশ্বাস,ঘুম,

দৈহিক বৃদ্ধি,চলাফেরা ,প্রজনন ইত্যাদি কাজে হরমোন ব্যপক ভৃমিকা রয়েছে।[২][৩]গাছের

মধ্যে হরমোন ব্যপক ক্রিয়া করে থাকে প্রায় সব রকমের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ

এবং বয়োবৃদ্ধহওয়া [৪] কোষীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে হরমোন বিশেষ রিসেপ্টর প্রোটিনসহকারে

প্রেরণ করে ফলে কোষের সাথে মিশে তা কোষের কার্যক্রম পরিবর্তন করে।এটি কোষের সাথে

মেশার ফলে সংকেত পাঠায় জিনে যা থেকে জিন বুঝতে পারে কোনপ্রোটিনগুলো বাড়াতে হবে।

হরমোন কি?

হরমোন দ্রুত,জিনগত নয় এমন পদ্ধতিতেও কাজ করে থাকে যার ফলে জিনের সাথে সমন্বয়ে

সাধিত হয়। [৫] জলে দ্রবীভূত হরমোন যেমন পেপটাইড সাধারণত কোষের উপরিভাগে কাজ

করে সেকেন্ড মেসেনজার হিসেবে।লিপিড দ্রবীভূত যেমন স্টেরয়েড সাধারণত কোষের প্লাজমা

মেমব্রেন ভেদ করে নিউক্লিয়াসের সাথে কাজ করে ।এক্ষেত্রে গাছের পাওয়া যায় এমন একটি

হরমোন যার নাম ব্রাসিনোস্টেয়েড হল ব্যতিক্রম যেটি লিপিড দ্রবীভূত হয়েও কোষের উপরিভাগে কাজ করে।[৬] মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে এন্ডোক্রিণ গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হল

বিশোষায়িত প্রতঙ্গ যা এন্ডোক্রিন সংকেত বহন ব্যবস্থায় হরমোন নিঃসরণ করে থাকে।

এন্ডোক্রিন মানে হল রক্তে যা সরাসরি মিশে যায়।বেশিরভাগ হরমোনই নিঃসৃত হয়

এন্ডোক্রিন গ্রন্থি থেকে।এর বিপরীত হল এক্সোন বা বহিঃক্ষরা ,এই হরমোন নিঃসৃত হয় শরীর

মধ্যস্থ বিভিন্ন নালী এবং ডাক্ট দিয়ে।এক্সিাক্রিন গ্রন্থি হতে উৎপাদিত কিছু হরমোন শরীরের

বাইরে নিঃসৃত হয় যেমন ঘর্মগ্রন্থি,লালাগ্রন্থি,স্তন্যগ্রন্থি ইত্যাদি।হরমোন প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৯০২ সালে।

সেটি ছিল সিক্রেটিন।১৯০৫ সারে হরমোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[৭] গ্রীক Hormaein  থেকে হরমোন (Hormone) শব্দটি এসেছে।

Hormaein  এর অর্থ উওেজিত করা (to  excite)।১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে বেলিস ও স্টারলিং (Bayliss and Starling 1905)–

সর্বপ্রথম হরমোন শব্দটি প্রয়োগ করেন।জীবদেহের  বিভিন্ন রকম বিপাক ক্রিয়ার মধ্যে

রাসায়নিক  সমন্বয়  (Chemical co -ordination0) ঘটাতে হরমোন সাহায্য করে।উৎপওিস্থল থেকে দূরবর্তী এলাকায় পরিবাহিত

হয়ে হরমোন তার কার্যকারিতা দেখায়।এজন্য হরমোনকে  রাসাযনিক  দূত (Chemical Messenger) বলা হয়।

হরমোনের বৈশিষ্ট্য

১.হরমোন একরকম জটিল জৈব পদার্থ।২.হরমোন জীবদেহের নিদিষ্ট কলা বা গ্রন্থিতে সংশ্লেষিত

বা নিঃসৃত হয়। ৩.উৎপওিস্থান থেকে হরমোন দূরে পরিবাহিত হয়।৪.অধিকাংশ হরমোন জলে দ্রবণীয় তাই সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে পরিবাহিত হতে পারে।

৫.স্বল্পমাত্রার হরমোন নিদিষ্ট জৈব পদ্ধতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

৬.একই কলা বা গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন রকম হরমোন নিঃসৃত হতে পারে।

৭.জীবের বিপাকক্রিয়ার মধ্যে হরমোন সমন্বয় সাধন করে।

৮.হরমনোর কার্যকারিতা মন্থর কিন্তু প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৯.হরমোন জীবদেহে ভবিষ্যত -এর জন্য জমা থাকেনা।

১০.নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদিত হয়ে গেলে হরমোন বিনষ্ট হয়।

তাই হরমোনের সংশ্লেষ এবং সরবরাহ খুবই জরুরী।

হরমোন কি?
হরমোন কি?

সূচনা এবং সারাংশ

হরমোনের সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণ ব্যবস্থায় নিম্নোক্ত ধাপগুলো দেখা যায়:

১.একটি বিশেষ জৈববিশ্লেষণ হয় একটি বিশেষ কোষে (হরমোনের জন্য)

২.সংরক্ষণ এবং নিঃসরণ হয়।৩.যে কোষের জন্য হরমোনটি তৈরি হয়েছে তা পরিবাহিত হওয়া।৪.সম্পর্কিত কোষের মেমব্রেন বা আন্তঃকোষীয় গ্রহণকারক

প্রোটিন ব্যবস্থায় হরমোনটিকে চিহ্রিত করা।৫.কোষীয় সংকেত পরিবহন ব্যবস্থার

মাধ্যমে গ্রহণকৃত হরমোন রিলে এবং এম্প্লিফাইকরা হয়।এই ব্যবস্থায় কোষীয়

সাড়া জাগায়।তখন মূল কোষটি প্রেরিত সংকেত যে কোষকে পাঠানো হয়েছে তা

গ্রহন করছে কিনা তা বুঝতে পারে।যার ফলে মূল কোষে হরমোনের উৎপাদন কমে যায়।এই ব্যবস্থা হল হেমিওস্টেটিক নেগেটিভ ফিডব্যাক লুপের একটি উদাহরণ।৬.সর্বশেষ ধাপে হরমোনটি ভেঙ্গে জৈব যোগে পরিবর্তিত হয়।

http://healthtips247.online/

হরমোন উৎপাদন করে এমন কোষগুলো হল বিশেষ কোষ যেগুলো অন্তঃক্ষরা

গ্রন্থিতে থাকে যেমন থাইরয়েড গ্রন্থি,জরায়ু এবং টেস্টিস ।হরমোন তাদের উৎপাদিত কোষ হতে এক্সিসাইটোসিস

ব্যবস্থা বা অন্য কোষীয় মেমব্রেন পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবাহিত হয়।

প্রক্রিয়াটি খুবই সাধারণ হরমোন সংকেত প্রেরণ ব্যবস্থার সারসংক্ষেপ ।নিদিষ্ট হরমোন যে কোষ গ্রহণ করে তা বিভিন্ন টিস্যুতে অবস্থিত

বিভিন্ন প্রকারের কোষ হতে পারে যেমন ইনসুলিন যেটি নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার

সৃষ্টি করে ।একই হরমোনের প্রতি বিভিন্ন টিস্যু বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

উদ্ভিদ হরমোন

উদ্ভিদের কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাবে উপস্থিত ভাজক কলার কোষগুলি উদ্ভিদ হরমোনের

অন্যতম প্রধান উৎসস্থল।এছাড়া  বীজপুত্র,মুকুলিত কচি পাতা,ভ্রূণমূল,বর্ধনশীল  পাতার কোষ থেকেও হরমোন ক্ষরিত হয়।

কাজ

উদ্ভিদ হরমোন উদ্ভিদের কোষে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন এবং বিপাক ক্রিয়া  নিয়ন্ত্রণ করে ।

এটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও কোষবিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে।এছাড়া  ফুলের উৎপওি ও পরিসফুটন,পরিণতি এবং যৌনবৈশিষ্ট্য প্রকাশে সহায়তা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *