মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় কি
কেউ কেউ হঠাৎ রেগে যান, মাথা গরম হয়ে যায় অল্পতেই। আবার অনেকের রাগটা ধীরে ধীরে ওঠে।
কিন্তু রাগলে পৃথিবী ওলটপালট করে দিতে পারার ক্ষমতা অনেকেই রাখেন। এতে কার কী উপকার হয় জানা নেই।
তবে যিনি রাগেন, ক্ষতিটা তারই হয়।
কেউ কেউ হঠাৎ রেগে যান, মাথা গরম হয়ে যায় অল্পতেই। আবার অনেকের রাগটা ধীরে ধীরে ওঠে।
কিন্তু রাগলে পৃথিবী ওলটপালট করে দিতে পারার ক্ষমতা অনেকেই রাখেন। এতে কার কী উপকার হয় জানা নেই।
তবে যিনি রাগেন, ক্ষতিটা তারই হয়।
মাথা ঠান্ডা রাখার উপদেশ সবাই দিয়ে থাকেন কিন্তু সব পরিস্থিতিতে মাথা ঠিক রাখা যায় না।
আর রাগের মাথায় মানুষ অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলে বা করে ফেলে যার জন্য সারাজীবন
আফশোস করেও আর কোন লাভ হয় না।
কিন্তু সফল না হলেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতেই পারে। নীচে রইল তেমনই ১০টি উপায়—
১) মাথা গরম হলেই যেখান আছেন, সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান। সব সময় হয়তো তেমন পরিস্থিতি থাকে না কিন্তু এটা করতে পারলে রাগের মাথায় অনেক ভুল কাজ করে ফেলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
২) মাথা গরম হলেই কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুরু করুন।
তারপর চোখ বুজে ডুবে যান সেই গানে। আর কোন ভাবনা মাথায় আসতেই দেবেন না।
৩) হাতের কাছে কাগজ থাকলে আঁকাআঁকি কাটতে শুরু করুন।
মাথা যত ঠান্ডা হতে থাকবে, ততই দেখবেন ওই আঁকাআঁকি পালটে যাচ্ছে সুন্দর ছবিতে।
৪) কেউ কোন খারাপ কথা বলায় যদি রাগ হয় তবে চেঁচামেচি না করে ঠান্ডা মাথায় তাকে কঠিন কথা বলুন।
মিষ্টি করেই কিন্তু সবচেয়ে সাংঘাতিক কথা বলা যায়।
মাথা ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় কি

৫) হাতের কাছে চকলেট অথবা আপনার খুব প্রিয় কোন খাবার রাখুন। মাথা গরম হয়ে গেলেই মুখে পুরে দিন।
এগুলি হল মুড বুস্টার। যতই এর স্বাদ নেবেন, ততই আপনার মুড ভাল হতে থাকবে এবং রাগ কমবে।
৬) ফোনে গেম খেলতে শুরু করুন। রাগ কমাতে এটিও ভাল কাজে দেয়।
৭) খুব বেশি স্ট্রেসড লাগলে নির্জন কোণ বেছে নিন এবং তারপর রাগের কারণটি নিয়ে নিবিড়ভাবে ভাবতে থাকুন।
আপনি কতটা খারাপ আছেন, আপনার উপর কত অন্যায়-অবিচার হচ্ছে এসব নিয়ে ভেবেই চলুন। ভাবতে ভাবতে
একটা সময় হয় আপনি অত্যন্ত ভেঙে পড়বেন। নিজের উপর নিজেরই মমতা হবে। এই ক্যাথারসিসের
পরেই আস্তে আস্তে মাথাটা ঠান্ডা হবে, মন হালকা হবে এবং রাগ কমে যাবে।
মাথা ঠান্ডা রাখার ১০টি সহজ উপায়
কেউ কেউ হঠাৎ রেগে যান, মাথা গরম হয়ে যায় অল্পতেই। আবার অনেকের রাগটা ধীরে ধীরে ওঠে।
কিন্তু রাগলে পৃথিবী ওলটপালট করে দিতে পারার ক্ষমতা অনেকেই রাখেন। এতে কার কী উপকার হয় জানা নেই।
তবে যিনি রাগেন, ক্ষতিটা তারই হয়।
৮) যদি রাগ হওয়ার সময়ে বাড়িতে থাকেন, তবে দরজা বন্ধ করে সাজগোজ করুন।
নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর করে যেভাবে খুশি সাজান। মন ভাল হলে তবেই দরজা খুলবেন।
৯) কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন, সে বাড়ির কাজই হোক বা অফিসের কাজ। যে কারণে রাগ সেটি মাথা থেকে সরে গেলেই রাগ পড়ে যাবে।
১০) হাতের কাছে সব সময় সুগন্ধি রাখবেন। রাগ হলেই স্প্রে করবেন হাতে। সুন্দর অ্যারোমা নার্ভকে রিল্যাক্স করে। মন ভাল হয়ে যায়।
অনেকেই আছেন সম্পর্কে ঝুটঝামেলা পছন্দ করেন না। কিন্তু সব সম্পর্ক শুধু মসৃণভাবেই যায় না মাঝে মধ্যে
ঝামেলার ও সম্মুখীন হতে হয়। তবে মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলেই কমই গোলযোগ বাঁধে।
এবং একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে এর সঙ্গেই মানসিক অশান্তি বেড়ে যায়।
তবে চাইলে পরিস্থিতিকে কিন্তু একেবারেই নিজের আয়ত্বে রাখা যায়। যাতে অশান্তির পরিসর না বাড়তে পারে।
ভারতীয় মনস্তত্ত্ব বিদ গরিমা জুনেজা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
পাঁচটি এমন উপায় আছে যেটি ঝামেলা পরবর্তীতে মেনে চললেই কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখা একেবারেই সহজ হয়।
মাথা ঠান্ডা রাখার ১০টি সহজ উপায়
নিজের সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশের পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেওয়া যায়।
পরিস্থিতি থেকে দূরত্ব :
তর্ক বিতর্কের পরেই কিন্তু সকলেই আবেগ এবং অনুভূতির একটি উচ্চতর মনোভাব সকলের থাকে।
তখন ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা বেশি থাকে। তার সঙ্গেই যে ধরনের অবস্থা চারিপাশে
থাকে তখন বেশি এক জায়গায় থাকলে আরও অবনতির সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজেকে
ওই মুহূর্তের জন্য সরিয়ে নিন। বাইরে চলে যান, এড়িয়ে যান। দরকার পড়লে জিমে যেতে পারেন, হাঁটতে যেতে পারেন।
মনের মত গান শুনুন কিংবা ধ্যান করুন : নিজেকে শান্ত করতে গান শুনতে পারেন।
যেটি আপনি পছন্দ করে তাতে নিযুক্ত হন। মন শান্ত করা খুব দরকার সঙ্গে চিন্তাভাবনা বেরিয়ে আসা আরও দরকারি।
স্ট্রেস রাখবেন না, বরং নিজেকে এর থেকে বের করে নিয়ে আসুন।
নিজের ওপর একটু ভাবনা চিন্তা করুন :
বেশিরভাগ সময় তর্ক বিতর্ক চলাকালীন আমরা সেই দিকেই ধ্যান
দি যে অপরজন কী বলছেন, আঘাত সুলভ কিছু কথা আমরা মস্তিষ্কে গেঁথে নিই। তবে সবসময় এটি না করে আবেগ থেকে
বেরিয়ে এসে সঠিক হল, নিজেদের দোষের দিকেও আলোকপাত করা। এবং কীভাবে নিজেকে আয়ত্বে রাখতে
পারতেন সেই বিষয়টিও। ভবিষ্যতে কীভাবে মোকাবিলা করবেন সেটিও ভাবনার বিষয়।